Academy

সুমন ঢাকা মেডিকেলে পড়ে। তার ঘরে খাদ্য পরিপাকের একটি বড় চার্ট দেখে ছোট বোন সিমা চার্ট সম্পর্কে জানতে চাইলো। সুমন বললো, খাদ্যবস্তুকে শরীরের কাজে লাগাবার জন্য খাদ্যের বড় অণুগুলো ভেঙে ছোট ছোট অণুতে পরিণত হওয়া প্রয়োজন। পরিপাকক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্য দেহের গ্রহণ উপযোগী অবস্থায় পরিণত হয়।

খাদ্যকে দেহের গ্রহণ উপযোগী অবস্থায় পরিণত করতে সুমনের মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো। (উচ্চতর দক্ষতা)

Created: 1 year ago | Updated: 4 months ago
Updated: 4 months ago
Ans :

খাদ্যকে দেহের গ্রহণ উপযোগী অবস্থায় পরিণত করতে পরিপাক ক্রিয়ার প্রয়োজন। সুমনের এ মন্তব্যটি যথার্থ।

খাদ্য হিসেবে আমরা যা গ্রহণ করি সেগুলোর অধিকাংশই বৃহৎ অণুবিশিষ্ট এবং এদের রাসায়নিক গঠন অত্যন্ত জটিল প্রকৃতির। অধিকাংশ খাদ্যবস্তু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হয়ে দেহের গ্রহণ উপযোগী সরল উপাদানে পরিণত হওয়ার পর তা শরীরের কাজে আসে।

সাধারণত ভাত খাওয়ার সাথে সাথে ভাতের প্রধান পুষ্টি উপাদান স্টার্চ শরীরের কোনো কাজে আসবে না। কারণ স্টার্চ অনেকগুলো গ্লুকোজ অণুর সমন্বয়ে গঠিত। তাই খাওয়ার পর স্টার্চ ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত হলে দেহ গ্লুকোজ শোষণ করে তাপ ও শক্তি উৎপন্ন করে। তেমনি প্রোটিন ভেঙে অ্যামাইনো এসিড এবং খাদ্যের ফ্যাট ভেঙে ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে পরিণত হওয়ার পর দেহের কাজে লাগে। খাদ্যবস্তুকে শরীরে কাজে লাগাবার জন্যে খাদ্যের বড় বড় অণুগুলো ভেঙে ছোট ছোট সরল অণুতে পরিণত হওয়া প্রয়োজন।

সুতরাং বলা যায়, সুমনের মন্তব্যটি যথাযথ ও সঠিক।

1 year ago

গার্হস্থ্যবিজ্ঞান

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

2 লালারসের কাজ, লেখো। (অনুধাবন)

Created: 1 year ago | Updated: 4 months ago
Updated: 4 months ago

লালারস হচ্ছে লালাগ্রন্থি থেকে বের হওয়া এক ধরনের রস। 

লালারসে টায়ালিন নামক এনজাইম শর্করা জাতীয় খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে। এছাড়া লালারস খাদ্যকে পিচ্ছিল করে ও গলাধঃকরণে সহায়তা করে।

উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি হলো পরিপাকক্রিয়া। পরিপাকক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্যের কার্বোহাইড্রেট ভেঙ্গে গ্লুকোজ, প্রোটিন ভেঙ্গে অ্যামাইনো এসিড, ফ্যাট ভেঙ্গে ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে পরিণত হয়।

পরিপাকক্রিয়ার সাথে জড়িত অঙ্গগুলো হলো- i. মুখবিবর, ii. গলবিল, iii. অন্ননালি, iv. পাকস্থলি, v. ক্ষুদ্রান্ত্র ও vi. বৃহদন্ত্র। শরীরের এ অঙ্গগুলো পৌষ্টিকনালি নামে পরিচিত। মুখবিবরে দাঁত দিয়ে চর্বণের মাধ্যমে খাদ্যবস্তু ছোট ও নরম হয়। নরম খাদ্যবস্তু অন্ননালি হয়ে পাকস্থলিতে আসে। পাকস্থলিতে সম্পূর্ণ পরিপাক হয় না। অপরিপাককৃত খাদ্যবস্তু ক্ষুদ্রান্ত্রে আসে। এখানে প্রধান পরিপাক কাজ চলে। এরপর খাদ্য বৃহদন্ত্রে আসে এবং পরিপাকক্রিয়া সম্পন্ন করে। এছাড়াও পরিপাকক্রিয়া সম্পন্ন করতে পৌষ্টিকগ্রন্থির কার্যকারিতা রয়েছে। পৌষ্টিকগ্রন্থিগুলোর মধ্যে লালাগ্রন্থি, যকৃত ও অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন পাচক রস পরিপাকে সাহায্য করে।

4 লালারস কাকে বলে? (জ্ঞানমূলক)

Created: 1 year ago | Updated: 4 months ago
Updated: 4 months ago

ইমালসিফিকেশন বলতে পিত্তলবণ চর্বিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানায় পরিণত করাকে বোঝায়।

পিত্তলবণ অগ্ন্যাশয়ে তৈরি চর্বি হজমকারী লাইপেজ এনজাইমকে সক্রিয় করে।

রাজু শিক্ষকের কাছে খাদ্যের পরিপাক ক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। পরিপাক পরিণতি প্রবাহ চিত্রের মাধ্যমে নিম্নে দেখানো হলো-

পরিপাক হলো খাদ্য সরল ও শোষণযোগ্য অণুতে পরিণত হওয়ার একটি প্রক্রিয়া। যে প্রক্রিয়ায় খাদ্যবস্তুর বৃহৎ ও জটিল অণুগুলো বিভাজিত হয়ে বা ভেঙে দেহের উপযোগী ও বিশোষণযোগ্য সরল ও ক্ষুদ্রতর অণুতে পরিণত হয় তাকে পরিপাক বলে।

পরিপাকক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্যের কার্বোহাইড্রেট ভেঙে গ্লুকোজে, প্রোটিন ভেঙে অ্যামাইনো এসিডে এবং ফ্যাট ভেঙে ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে রূপান্তরিত হয়। এভাবে পরিপাকক্রিয়ার মাধ্যমে সকল খাদ্যবস্তু ভেঙে সরল উপাদানে পরিণত হয় এবং শরীরের পুষ্টি সাধন করে। সকল খাদ্যের পরিপাকক্রিয়া দেহের পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...